বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে শতকের সংখ্যা দুই অঙ্কে নিয়ে গেছেন তামিম ইকবাল। তবে দুই ফরম্যাটের হিসেবে তিনি প্রথম। দেশের ইতিহাসের সফলতম এই ব্যাটসম্যান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দশম টেস্ট শতক। শ্রীলঙ্কার বোলারদের রীতিমতো শাসন করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। মাত্র ৭৬ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ৫১তম ওভারে আভিসকা ফার্নান্দোর বল লং অনে ঠেলে দিয়ে দ্রুত ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। সেঞ্চুরি করতে এই তারকার খরচ হয়েছে ১৬২ বল, ছিল ১২টি চারের মার।
২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তামিম। এরপর তিনি খেলেছেন আরও ৮টি টেস্ট। তাতে ১৬ ইনিংসে ৬ বার অর্ধশতকের দেখা পেলেও সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছিলেন না এই ড্যাশিং ওপেনার। এ সময়ে একবার ৯০ ও আরেকবার ৯২ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।
অবশেষে ২৬ মাস পর সেঞ্চুরির আক্ষেপ কাটল তামিমের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাগরিকায় বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি দখলে নেওয়ার পর সেঞ্চুরিও তুলে নিলেন তিনি। ১৬২ বলে ১০ চারে তিনি এই ইনিংস খেলেন। টেস্টে ১১ সেঞ্চুরি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডটি অধিনায়ক মুমিনুলের। ১০ সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে তামিম।
তামিম ইকবাল ওয়ানডেতে নিজের দশম শতক তুলেছিলেন অনেক আগেই। তবে টেস্টে আটকে ছিলেন নয়টি সেঞ্চুরিতে। মাঝে বেশকিছু সময় ক্রিকেট থেকে অনিয়মিত হওয়ায় শঙ্কা দেখা দিয়েছিল তার টেস্ট শতক নিয়ে। তবে উড়ে গেছে সব শঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে তিন ফরম্যাটে একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তামিম। ওয়ানডেতে তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ১৪টি, টেস্টে ১০টি এবং টি-২০তে আছে একটি। টেস্টে একটি ডাবল সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন ফরম্যাটে রয়েছে ৯০টি হাফসেঞ্চুরিও।
এদিকে, টেস্টে তামিমের চেয়ে একটি বেশি সেঞ্চুরি আছে মুমিনুল হকের, এরপর মুশফিকুর রহিম সাতটি, মোহাম্মদ আশারাফুল ছয়টি ও সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরি আছে পাঁচটি।